সাম্প্রতিক প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে ‘কোটা বিরোধী’ এক আন্দোলন, কিভাবে নির্বাচিত সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপান্তরিত হলো তা গোটা বিশ্ব লক্ষ্য করেছে। শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা সরকারকে উৎখাত করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্বভার গ্রহণ করেই দেশের সংবিধানকে ছিন্নভিন্ন করার বড় প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভারতের সংবিধানে উল্লেখিত জাতিভিত্তিক সংরক্ষণ বা কোটার সমালোচনায় উচ্চবর্ণের মানুষ দীর্ঘদিন সোচ্চার হয়েছেন। বর্ণে উচ্চ কিন্তু আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষ যাঁরা এই সংরক্ষণে সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী মূল ক্ষোভ তাঁদেরই।
তবে বাংলাদেশ এবং ভারতের কোটার মূলনীতি এক নয়। বাংলাদেশের সংরক্ষণ মূলত মুক্তিযোদ্ধা, নারী এবং শারীরিকভাবে অক্ষম নাগরিকদের জন্য। সংরক্ষণের একটি বড় অংশ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করা মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরবর্তী প্রজন্মের সন্তান-সন্ততি ও নাতি-নাতনিদের জন্য এবং তা মোট সংরক্ষণের ৩০ শতাংশ। বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি’র মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা মোটামুটি আড়াই লক্ষ অর্থাৎ জনসংখ্যার এক শতাংশের কিছু বেশি মানুষের জন্য সংরক্ষণ বরাদ্দ ৩০ শতাংশ। কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের মূল দাবি এই মুক্তিযোদ্ধাদের পরবর্তী প্রজন্মের সংরক্ষণ নিয়ে। অপরপক্ষে ভারতে সংরক্ষণ দেওয়া হয়, জাতিগতভাবে যারা যুগ যুগ ধরে কুসংস্কার বহন করে আসছে, সামাজিক লাঞ্ছনা সহ্য করেছে, সমান অধিকারের প্রশ্নে দীর্ঘদিন ধরে পিছিয়ে আছে, দেশের সেইসব নাগরিকদের। তবে মনে রাখা জরুরী ভারতের সংবিধানে সংরক্ষনের একমাত্র লক্ষ্য অর্থনৈতিক অসাম্য দূর করা নয়, ভারতের সংবিধানে সংরক্ষণের মূল লক্ষ্য শ্রেণীহীন, বৈষম্যহীন, জাতপাতের ঊর্ধ্বে সম অবস্থা ও সমন্বয় তৈরীর লক্ষ্যকে ত্বরান্বিত করা। প্রাচীন ভারতেও সংরক্ষণ ব্যবস্থার প্রচলন ছিল, তবে সেই সংরক্ষণ ছিল শিক্ষা এবং কর্মের উপর ভিত্তি করে। কোনভাবেই আজকের মতো জন্মগতভাবে জাতিভিত্তিক সংরক্ষণ নয়। সমাজ বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যায় ভারত ভূখণ্ডে জাতপাতের ধারণার প্রবেশ আনুমানিক ২৫০০ বছর আগে।
প্রাচীন ভারতে কর্মের ভিত্তিতে ভাগ হওয়া ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শুদ্র কালক্রমে জন্মগতভাবে জাতে রূপান্তরিত হয়ে গেল। তীব্র হলো জাতিভেদ, অস্পৃশ্যতা ও বর্ণের ভিত্তিতে সমাজের বিভাজন। শূদ্রদের শিক্ষার অধিকার কেড়ে নেওয়া হলো, থাকলো না সম্পত্তির উপর তাদের অধিকার। কেবল উচ্চবর্ণের সেবা করাই তাদের ভবিতব্য হয়ে গেলো। পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মন্দিরে প্রবেশের অধিকার ছিল না, প্রায় এক হাজার বছর। উচ্চ বর্ণের সঙ্গে একই আসনে আহার, একই জায়গার জল ব্যবহার, একই শ্মশানে দাহ, একই পূজা-অর্চনায় অংশগ্রহণ আজও সব জায়গায় সম্ভব হয়ে ওঠেনি। সীমিত ক্ষেত্র ছাড়া আত্মীয়তা তৈরী কিংবা বিবাহ বন্ধনের জাতিগত বিভেদের এই প্রাচীর আজ ভয়ংকর শক্ত বলে মনে হলেও, মাত্র ১৯০০ থেকে ২০০০ বছর আগে এই ব্যবস্থা চালু ছিল না ভারতে। স্বীকার্য সেই সময় ভারতের উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা যবন-শক-কুষাণ এবং গ্রীস-পারস্য-চীন দেশ থেকে আসা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে ভারতীয়দের বিশুদ্ধতা রক্ষার জন্য মোটামুটি ২০০০ বছর আগে বিবাহের ক্ষেত্রে এই রীতি চালু হয়েছিল।
ভারতে এই সংরক্ষণের একটি ইতিহাস আছে।
- ভারতের ইতিহাসে প্রথম সংরক্ষণ দেওয়ার নজির কোলাপুরের রাজা সাহু জি’র। ১৯০২ সালে নিজের রাজ্যে দলিতদের চাকরির জন্য প্রথম সংরক্ষণ চালু করেছিলেন।
- মহীশূর রাজ্যে ১৯২১ সালে সমাজের পিছিয়ে থাকা প্রজাদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা হয়েছিল।
- ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে দলিতদের জন্য একটি মাইল ফলক ‘পুনা চুক্তি’ (১৯২৯)। পরাধীন ভারতে দলিতদের জন্য রাজনৈতিক সেই সংরক্ষণের বিরোধিতা করে মহাত্মা গান্ধীর অনশনের পরও লাগু হয়ে যায় আইনটি। রবীন্দ্রনাথ, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র প্রমূখ এই চুক্তির বিরোধিতা করেছিলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভাজনের আশঙ্কায়। ১৯৩০ সালে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের ভাইসরয় ঘোষণা করেন এই চুক্তির মাধ্যমে দলিত শ্রেণীর জন্য ৮.৫% সংরক্ষণ কার্যকর করা হবে। তবে এ-কথা অস্বীকার করার উপায় নেই, পরাধীন ভারতের রাজনৈতিক আবহে মহাত্মা গান্ধীই প্রথম ব্যক্তি যিনি অস্পৃশ্যতা, জাতিগত বিভেদ প্রভৃতিকে প্রথম আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসেন এবং তা দূরীকরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেন। প্রবল করে তোলেন ‘হরিজন আন্দোলন’। তার মতে- “অস্পৃশ্যতা বিলুপ্ত হলেই হিন্দু ধর্ম বাঁচবে, আর যদি অস্পৃশ্যতা দূর না হয়, তাহলে হিন্দু ধর্ম অবলুপ্ত হবে।”
- ১৯৫০ সালে বি আর আম্বেদকরের নেতৃত্বে সংবিধানে তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য সংরক্ষণ দেওয়া হয়। তপশিলি উপজাতিদের জল, জমি, জঙ্গলের বিশেষ অধিকার নিশ্চিত করা হয় সংবিধানে।
- ১৯৯০ সালে জাতভিত্তিক সংরক্ষণ আইনি স্বীকৃতি লাভ করে, তৈরি হয় নতুন আইন।
- ১৯৯২ সালে ভি পি সিং নেতৃত্বাধীন সরকার ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু করেন, পরে অবশ্য এই রায়ের কিছুটা সংশোধন করে বলা হয়। এর আগেই সুপ্রিম কোর্ট ঘোষণা করেছিল দেশের মোট সংরক্ষণ কোনোভাবেই ৫০ শতাংশের বেশি হবে না। তবে রাজ্য চাইলে ৫০ শতাংশের বেশি সংরক্ষণ দিতে পারে কিন্তু তার একটি যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা প্রয়োজন। সেই অনুসারে তামিলনাড়ুতে ৬৯ শতাংশ, তেলেঙ্গানায় ৬২ শতাংশ এবং ৫২ শতাংশ কোটার ব্যবস্থা রয়েছে। মুসলিমদের অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী বা ওবিসি অন্তর্ভুক্ত করার কাজ পশ্চিমবঙ্গের মতো কয়েকটি রাজ্য করেছে সংরক্ষণের মূল সাংবিধানিক কাঠামোর বাইরে গিয়ে মুসলিম তোষণের নির্লজ্জ রাজনীতির উদ্দেশ্যে। সেই অনুসারে প্রাক্তন বিচারপতি বি পি মন্ডলের নেতৃত্বে গঠিত ‘মন্ডল কমিশন’ ১৯৮০ সালে অর্থনৈতিক ও শিক্ষার দিক থেকে পিছিয়ে পড়া জাতি ও সম্প্রদায়গুলিকে চিহ্নিত করেন। বৈষম্যহীন এক সমাজ গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে তাদের সুপারিশ অনুসারে ওবিসিদের জন্য ২৭% সংরক্ষণ ঘোষণা হয়।
২০১১ সালের জনগণনা অনুসারে ভারতে মোট জনসংখ্যা ১২১ কোটি। জাতি-বর্ণ-সম্প্রদায়ের শ্রেণী বিভাগে- দেশে তপশিলি উপজাতির সংখ্যা ৮.৬১ শতাংশ, তাদের জন্য সংরক্ষণ ৭.৫ শতাংশ। দেশে তপশিলি জাতি মোট জনসংখ্যার ১৬.৬৩ শতাংশ, তাদের জন্য সংরক্ষণ ১৫ শতাংশ। ভারতে ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন ৫২ শতাংশ, তাদের জন্য সংরক্ষণ ঘোষণা হয় ২৭ শতাংশ। বাকি ২৫ শতাংশ হলো সাধারণ বা উচ্চবর্ণের, মোট হিসেবে তাদের জন্য রইল ৫০ শতাংশ। যদিও সংবিধান প্রণেতা ড. বি আর আম্বেদকরের মন্তব্য অনুসারে “ভারতের সংবিধানে এই সংরক্ষণ ১০ বছরের জন্য কার্যকর”, দীর্ঘদিন এই ব্যবস্থা চালিয়ে যাওয়ার কথা তিনি কোনোভাবেই বলেননি। প্রতিটি শাসক এই মেয়াদকে আজ পর্যন্ত বাড়িয়ে এসেছেন, প্রতি দশ বছর অন্তর। স্মরণ রাখা জরুরী গণ-পরিষদে দাঁড়িয়ে ড. আম্বেদকরের সেই ঐতিহাসিক বক্তব্য- দেশের মানুষের মধ্যে অসাম্য, জাতিগত ভেদ, অস্পৃশ্যতা দূরীভূত না হলে “গণতন্ত্র হবে গোময়ে তৈরি এক অট্টালিকার সমতুল্য।”
তবে আম্বেদকর প্রথম নন, ভারতে জাতি ভিত্তিক সংরক্ষনের কথা প্রথম পাওয়া যায় উইলিয়াম হান্টার এবং জ্যোতিরাও ফুলের লেখায়। স্বাধীন ভারতবর্ষের এই সংরক্ষণ কেবল চাকরি বা কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নয়। পঞ্চায়েত, মিউনিসিপ্যালিটি, বিধানসভা কিংবা লোকসভার ক্ষেত্রেও এই সংরক্ষণ রয়েছে, পেয়েছেন দেশ ও প্রদেশের মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পদে নিম্নবর্গের প্রতিনিধিত্ব তুলে আনার সংস্থান দিয়েছে ভারতের সংবিধান। মহিলাদের জন্য লোকসভায় ৩৩ শতাংশ এবং পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশের সংরক্ষণ, ভারতের সংরক্ষণ ব্যবস্থার আরেকটি উজ্জ্বল দিক।
আজও ভারতবর্ষের অস্পৃশ্যতা, বর্ণভেদ, জাতিভেদের করুন সেই অবস্থার খুব বেশি পরিবর্তন ঘটেনি। ভুল করে মন্দিরের ঘট ছুঁয়ে ফেলাতে খুন করা হয়েছে দলিত যুবককে, উচ্চবর্ণের পুকুরে জল খেতে গিয়ে তৃষ্ণার্ত দলিত যুবকে নগ্ন করে ঘোরানো হয় গোটা গ্রাম- অবশেষে হত্যার আদেশ দেয় স্থানীয় মুরুব্বীগন। হায়দ্রাবাদে মাধবী নামের সেই যুবতী, এক দলিতকে বিয়ে করায় নিজের জন্মদাতা পিতার হাতে খুন হয়ে যান। আসলে ভারতবর্ষের সামাজিক অবস্থায় বর্ণভেদ, জাতিভেদ, অস্পৃশ্যতা এবং শিক্ষা-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে তুমুল বিভেদ এখনও সংরক্ষণের পক্ষেই রায় দেয়। সুদূর ঝাড়গ্রামের সাঁওতাল পরিবারের যে ছেলেটির ক্ষুধার তাড়নায় কাঠবিড়ালি শিকার করতে করতে সারাদিন বনে-জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানোটা রোজনামচা, সেই ছেলেটা ফাঁক তালে স্কুল গিয়ে কোনভাবে হয়তো পাশ করে যায় বোর্ডের পরীক্ষা; কোন একটি চাকরির পরীক্ষার তার প্রত্যাশিত নম্বর এবং শহরের উন্নত শিক্ষা পরিবেশে বড় হওয়া একজন ছাত্রের একই নাম্বারের দাবি শুধু অযৌক্তিক নয়, অবৈজ্ঞানিকও বটে। সংরক্ষণের দাবি সেখানে প্রাসঙ্গিক।
দীর্ঘদিন ধরে ভারতের সংরক্ষণ নিয়ে উচ্চবর্ণের বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে অসন্তোষ দানা বাঁধছিল। সেই অসন্তোষ নতুন করে বিক্ষোভে রূপান্তরিত হলো ১৯৯২ সালে ভি পি সিং সরকারের অন্যান্য অনগ্রসর (ওবিসি) শ্রেণির জন্য ২৭ শতাংশ সংরক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর। রাজিব গোস্বামী নামে এক শিক্ষার্থীর নেতৃত্বে দিল্লিতে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন শুরু হয় । ওবিসিদের জন্য নতুন করে সংরক্ষণ আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেন রাজিব গোস্বামী। উত্তর ভারতসহ সারা দেশে এই আন্দোলন ক্রমশ ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। এমনকি ভি পি সিং-কে প্রধানমন্ত্রীত্বের পথ ছাড়তে হয়, এই আন্দোলনের চাপে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে শাসক ও রাজনীতির চাপে দলিতদের উন্নয়ন কেবল রাজনৈতিক ইস্যু হয়েছে। অধরা থেকে গেছে, সামাজিক অসাম্য দূর করে জাতিভেদহীন, অস্পৃশ্যতাহীন সমাজের স্বপ্ন। সাম্প্রতিককালে জনবিচ্ছিন্ন কংগ্রেস জাতিভিত্তিক বিচ্ছিন্নতাকে নতুন করে উসকে দেওয়ার মধ্য দিয়ে দেশে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে। হিন্দু সমাজে জাতিভিত্তিক বিভেদ তৈরি করার উদ্দেশ্যে বি আর আম্বেদকরকে ইস্যু করছে। জাতিভিত্তিক জনগণনা বা সেন্সাসের অযৌক্তিক দাবী জানাচ্ছে বিরোধীরা। তবে উচ্চবর্ণের আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া নাগরিকদের শিক্ষা ও অন্যান্য বিষয়ে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে সংবিধানের ৪৬ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে।
দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির প্রতিষ্ঠার সময়কালে দলিত ও ব্রাহ্মণ্যের সামাজিক পরিস্থিতির নিরিখে বিচার করলে কিছুটা অনুমান করা যাবে তৎকালীন সামাজিক বৈষম্য ও জাতপাতের ভয়ঙ্কর একখন্ড চিত্র। কালী মন্দির ‘রানী’ রাসমণি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরও স্বীকৃতি আসেনি, মেলেনি পূজা-অর্চনা শুরুর ব্রাহ্মণ্য অনুমতি। ‘রানী’ হলেও তিনি যে কৈবর্তের সন্তান, তাই তাঁর অধিকার ছিল না, স্বাধীন ঈশ্বর সাধনার। শেষ পর্যন্ত সেই মন্দির কুল গুরুদের দান করার পরই ব্রাহ্মণদের স্বীকৃতি আসে, শুরু হয় পূজা-অর্চনার কাজ। সেটাই আজকের দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির।
অস্পৃশ্যতা ও জাতিভেদের এই কুপ্রথা থেকে হিন্দু সমাজকে বেরোতেই হবে। হিন্দু সম্প্রদায় অন্তর্গত একতার অভাব ভারতবর্ষকে যেমন একদিকে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিকভাবে পিছিয়ে দিচ্ছে; তেমনি হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে বৌদ্ধ এবং বিপুল সংখ্যায় ইসলাম ও খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে- যা আগামী দিনে ভারতবর্ষকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করাবে।
(The views expressed are the author's own and do not necessarily reflect the position of the organisation)