১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে মীরজাফর, উমিচাঁদ প্রমুখের বিশ্বাসঘাতকতার জন্য ভারতের স্বাধীনতার ‘রবি’ অস্তাচলে গিয়েছিল। ক্লাইভের তরবারির আঘাতে লাল হয়েছিল বাংলার মাটি। প্রায় ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসন, শোষণ অত্যাচারের ফলে ভারতবাসী ছিল নির্যাতিত, নিপীড়িত। তাঁরা ছিল পরাধীন। সেই অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে শুরু হলো জাতীয়তাবাদী অগ্নিযুগের মুক্তির আন্দোলন। সেই অগ্নিযুগের সশস্ত্র আন্দোলনে বিপ্লবী ছিলেন নলিনী বাগচী। যার ডাক নাম ছিল ‘পচা’ । বিপ্লবীরা ডাকতো, ‘স্কলার’ বলে, ‘পাবলিসার’ বলে। এই নাম শুনলে ইংরেজ পুলিশের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হতো; মুর্শিদাবাদের গর্ব, তার কথা মাটিতে কান পাতলে, কিংবা গঙ্গার ঢেউ-এর কুলকুল শব্দে আজও শোনা যায় “Do not disturb me, Let me die in Peace”. ইনি মুর্শিদাবাদ জেলার একমাত্র বলিদানী বিপ্লবী। ১৮৯৬ খ্রীষ্টাব্দে ধুলিয়ানের কাঞ্চনতলার নলিনী বাগচী জন্ম গ্রহণ করেন। পিতা ভুবনমোহন বাগচীর তৃতীয় সন্তান হলেন নলিনী বাগচী। ছোট বেলায় প্রচন্ড ফোঁড়া হতো বলে ডাক নাম ছিল ‘পচা’ অবশ্য তাদের আদি নিবাস ছিল নদীয়ার শিকারপুরে। ভগবতীচরণ রায়ের জমিদারির সেরেস্তায় সামান্য চাকুরি পান ভুবন বাবু। জমিদার ভগবতীচরনের পুত্র শচীন্দ্রনাথের পড়াশোনার জন্য ও শিক্ষা প্রসারের জন্য ১৮৯৭ পিতার নামে কাঞ্চন তলায় জগবন্ধু ডায়মন্ড জুবিলী ইন্সটিটিউশন, প্রতিষ্ঠা করেন। এখানেই নলিনীর পাঠ্যজীবন শুরু হয়। ভাগ্য অসহায়, পিতার মৃত্যুর পরে পরিবারে অন্ধকার নেমে আসে। কাঞ্চনতলায় পড়া শেষ করে বন্ধু বিজয় ভট্টাচার্য্যের ইচ্ছায় পাকুড় রাজ বিদ্যালয়ের প্রধান – শিক্ষক লালমোহন গোস্বামীর সাহায্যে ভর্তি হলেন পাকুড় রাজ ইস্কুলে এবং ১৯১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অধিকার করে ২০ টাকা বৃত্তিসহ উত্তীর্ণ হলেন।
১৯১৪-১৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বহরমপুরের কৃষ্ণনাথ কলেজে ছাত্র ছিলেন।এখানেই ঢাকা অনুশীলন সমিতির বিপ্লবীদের সংস্পর্শে আসেন।বিহারের বিপ্লবী আন্দোলনকে সংগঠিত করার ব্যাপারে রেবতী নাগের সঙ্গে নলিনী বাগচী মহাশয় বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেন।
রেবতী নাগ বহরমপুর কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র থাকাকালীন দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশে তিনি
ভাগলপুরের ‘Divisional Organiser’-এর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি ভাগলপুরের INJ
College এ ভর্তি হন। তিনি সেখানে কানাই বংশী নামে পরিচিত হন। নলিনী বাগচী রেবতী
নাগের সঙ্গে যোগদান করেন। উভয়েই সতীশচন্দ্র ব্যানার্জীর গৃহশিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯১৬
খ্রীষ্টাব্দে তিনি TNJ কলেজ থেকে আই এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ওই বছরই অক্টোবরে তাঁকে বাঁকিপুর পাঠান হয়। পুনরায় তাকে ভাগলপুরে নিয়ে আসা হয়। দানাপুরে সেনা ছাউনিতে বিপ্লবের কাজে ইন্ধন যোগান। বারবার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করলে কলকাতা চলে আসেন।
আসাম তখন খানিকটা নিরাপদ জায়গা বলেই বিবেচিত হ’ত ; কারণ বাংলা দেশের বিপ্লব আন্দোলনের ঢেউ তখন আসামে গিয়ে পৌঁছেনি ফলে পুলিশের শ্যেন দৃষ্টি তখনও আসামে গিয়ে পড়েনি।
পলাতক প্লিবীদের অজ্ঞাতবাদের পক্ষে আসাম সেই দিক থেকে বেশ অনুকূল ছিল।বাংলার পলাতক বিপ্লবীরা গৌহাটি শহরের এক প্রান্তে তাঁদের একটি গোপন আস্তানা স্থাপন করলেন। কিন্তু বিপ্লবীরা সংখ্যায় বেশি হওয়ায় তাঁরা ছুটিভাগে বিভক্ত হয়ে পৃথক পৃথক বাড়ীতে আশ্রয়
গ্রহণ করলেন। দলের নেতারা তখন প্রায় সকলেই কারারুদ্ধ এবং সরকারী চণ্ডনীতি ও অমানুষিক দমন-পীড়নে বিপ্লবী সংগঠনগুলি ও তখন প্রায় ছত্র ভঙ্গ অবস্থায়। সংগঠনকে গড়ে তোলার দায়িত্ব তখন বাইরে যারা আছেন তাঁদের ওপরে। দায়িত্বশীল কর্মীরা আত্মগোপন করে থেকে সেই গুরু দায়িত্ব পালনে মনঃসংযোগ করলেন। নলিনী বাগচী এবং তাঁর সহকর্মীরা আসামের গোপন আস্তানায় বাংলার সঙ্গে ঘনিষ্ট যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন ৷ কিন্তু একদিন গোয়েন্দ বাহিনী তা জেনে ফেলল এবং পুলিশ তাঁদের গোপন আস্তানা ঘেরাও করে ফেন্সল ! দেখতে দেখতে দু’পক্ষের মধ্যে আরম্ভ হয়ে গেল তুমুল সংগ্রাম। কিন্তু যে যুদ্ধের একদিকে রাইফেল ও বন্দুকধারী বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং অপর দিকে রিভলভার ও পিস্তল সম্বল গুটি কয়েক বুবক মাত্র, সে যুদ্ধ তো বেশিক্ষণ চলতে পারে না । কিন্তু তবু মৃত্যুভয়হীন বে-পরোয়৷ বিপ্লবীরা অবিশ্রান্ত গুলি চালিয়ে চলেছেন। সে অনলবৃষ্টি উপেক্ষা করে অগ্রসর হওয়ার মত সাহস আর যারই থাকুক না কেন, বেতনভূক পুলিশ বাহিনীর ছিল না ; কিন্তু বিপ্লবীদের গুলিবারুদ তো সীমিত : সুতরাং তা শেষ
হয়ে যেতে বেশী সময় লাগল না। বিপ্লবীদের আগ্নেয় অস্ত্রগুলি যখন ক্রমশ: স্তব্ধ হয়ে এসেছে, পুলিশ বাহিনী তখন অতি সন্তর্পণে পা পা করে এগিয়ে চলল তাদের আস্তানা অভিমুখে। ধীরে ধীরে দরজার খুব কাছে যখন পৌঁচেছে, তখনও ভয় কাটিয়ে উঠতে পাচ্ছেন না।পুলিসের বড়কর্তা ফেয়ারওয়েদার সাহেব বীর দর্পে চীৎকার করে, উঠলেন—“দরজা খোল ।” ভেতর থেকে বজ্রগম্ভীর কণ্ঠে উত্তর এলো,“দরজা খোলাই আছে, মরতে হয়তে৷ ভেতরে পা বাড়াও।” স্তম্ভিত পুলিশবাহিনী নিশ্চল। বিপ্লবীরা, পুলিশের এই ভীত সন্ত্রস্ত এবং দ্বিধাগ্রস্ত অবস্থা বুঝতে পেরে নিজেদের পালাবার পথ প্রশস্ত করে নিল।
ঘটনার ইতিহাস বলছে, শেষ পর্যন্ত পাঁচজন আহত অবস্থায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ল। কিন্তু পুলিশের সেই দুর্ভেদ্য বেড়াজাল ভেদ করে দু’জন বিপ্লবী পালাতে সমর্থ হলেন, নলিনী বাগচী তাঁদের অন্যতম। এঁরা পরস্পর পৃথক হয়ে হাঁটা পথে কোলকাতা রওনা হন। পথ দুৰ্গম, শ্বাপদ সঙ্কুল পাহাড়ের অরণ্য পথ। কিন্তু দেশের জন্য যারা সব দিয়েছে, দেশের রাজপথ তো তাঁদের কাছে চিরদিনই রুদ্ধ৷দুর্গম-দুরতিক্রমনীয় পাহাড়-পর্বত ডিঙ্গিয়েই তো তাদের চলতে হয়েছে; খেয়াঘাটের খেয়া নৌকা তো কোনদিন তাদের পার করে দেয়নি, সাঁতার দিয়েই তো পদ্মা পার হ’তে হয়েছে। কারাগার তো তাদেরকে মনে করেই প্রথম নির্মিত হয়েছিল, শৃঙ্খল সে তো তাদের অলঙ্কার। দুঃখের দুঃসহ গুরুভার তাঁরা বইতে পারেন বলেই তো বিধাতা তাঁদের স্কন্ধে যত দুঃখের বোঝা অর্পন করেন। পরাধীন দেশের রাজদ্রোহী বীর নলিনী বাগচী হাঁটা পথে, ঘোরা, পথে জটিল এবং কুটিল পথে কোলকাতায় এসে যখন পৌঁছলেন তখন তিনি অত্যন্ত অসুস্থ ৷ সারা গায়ে গুটি বসন্ত বের হয়েছে। জ্বরে একেবারে বেহুস অবস্থায় একটা কম্বল ঢাকা দিয়ে কোলকাতার গড়ের মাঠে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রইলেন। কিন্তু বীরের মৃত্যু যার জন্য অপেক্ষা করছে, তিনি তো রোগে ভুগে বিছানায় শুয়ে অথবা পথে পড়ে মরতে পারেন না৷ বিপ্লবী সতীশ চন্দ্র পাকরাশী দূর থেকে দেখতে পেয়ে চিনে ফেললেন নলিনীকে। তিনি তাঁকে বুকে নিয়ে গোপন আস্তানা অভিমুখে রওনা হ’লেন। সেবা এবং পরিচর্য্যায় তিনি সুস্থ হয়ে উঠলেন। কিন্তু আগুনের পরশমণি যার প্রাণস্পর্শ করেছে, ভারতের মুক্তি, ভারতের স্বাধীনতা যার দিবসের চিন্তা, নিশীথের স্বপ্ন সে তো চুপ করে নিশ্চেষ্ট হয়ে বসে থাকতে পারে না। সেই রুদ্র দেবতার উদ্দেশেই তো কবি বলেছেন—“তুমি বসে থাকতে দেবে না যে, দিবা-নিশি তাইতো বাজে, পরাণ মাঝে এমন কঠিন সুর।”
ছিন্ন-ভিন্ন সংগঠনকে গুছিয়ে তুলে শত্রুকে আঘাত করতে হবে।অর্থ চাই, অস্ত্র চাই, চাই অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষিত অজস্র সমর্পিত প্রাণ যুবক। নলিনী তাঁর দুর্বল স্বাস্থ্যের কথা ভুলে গিয়ে ঢাকা অভিমুখে রওনা হলেন। সেখানে তিনি ঢাকার কলতাবাজারে একটা গোপন আস্তানা গড়ে তুললেন। বিপ্লবী তারিণী মজুমদারও গিয়ে দেখানে তাঁর সঙ্গে যোগ দিলেন। কিন্তু তাঁদের সেই গোপন আস্তানার কথা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে বেশীদিন গোপন রইল না। কিছুদিন পর্যবেক্ষণের পর একদিন রাত্রিতে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী বাড়ীটাকে ঘেরাও করে ফেলল। নলিনী এবং তারিণী যখন বুঝতে পারল যে,পালাবার চেষ্টা করা বৃথা, সকল পথই অবরুদ্ধ ; তখন স্থির হ’ল গুলির মুখে পথ করে বেড়িয়ে যেতে হবে। দরজা খুলে বের হ’তে গিয়ে দেখলেন সামনেই এক হাবিলদার দাঁড়িয়ে। বিপ্লবীদের গুলির আঘাতে তৎক্ষণাৎ সে লুটিয়ে পড়ল বটে, কিন্তু আবেষ্টনকারী সমগ্র পুলিশ বাহিনীর রাইফেল এক সঙ্গে গর্জে উঠলো বিপ্লবীদের লক্ষ্য করে। গুলিবিদ্ধ হয়ে তারিণী মজুমদারের মৃতদেহ লুটিয়ে পড়ল বাড়ীর সামনে। নলিনী ক্ষিগ্রহস্তে দরজা বন্ধ করে ওপরে উঠে গেলেন এবং শেষ সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হলেন। একদিকে নিঃসঙ্গ নলিনী বাগচী আর অন্যদিকে বিশাল এক সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী।
ইতিহাসে সেই যুদ্ধের কোন তুলনা আছে কিনা, তা জানি না। কিন্তু অসম সাহসিকতা ও অদম্য উৎসাহের সঙ্গে নলিনী একক সেদিন যে সংগ্রাম করেছিলেন ইতিহাস বলছে, তাতে একের পর এক শত্রুপক্ষের কনেকেই ধরাশায়ী হয়েছিল। নলিনীর সারা দেহে গুলিবিদ্ধ, রক্তাক্ত, কিন্তু তবু ভ্রূক্ষেপ নাই, অগ্নিবৃষ্টি করে চলেছেন তিনি।
সেই গুলিবর্ষণ থামল তখন, যখন তাঁর সব শক্তি নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে। চরম এবং প্রম আকাঙ্খিত বীরের মৃত্যু তখন ধীরে ধীরে এগিয়ে এসেছে। পুলিশবাহিনী ততক্ষণে শঙ্কিত পদক্ষেপে গৃহে প্রবেশ করলো। নলিনী মেঝের ওপরে পড়ে রয়েছে, সর্বাঙ্গে খুনের আবির ; কিন্তু পিস্তলটি তখনও হাতের বজ্রমুষ্টিতে ধরে রয়েছেন। সেই অর্দ্ধ অচেতন অবস্থাতেই পুলিশ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেল। তখন পর্যন্ত তার প্রকৃত পরিচয় পুলিশ জানে না।
কিন্তু সময় যে বয়ে যাচ্ছে, পুলিশকে যে জানতেই হবে তার নাম,ধাম। তাই মৃত্যু পথ যাত্রী সেই বীর বিপ্লবীকে তারা মহূর্ত বিশ্রাম দিতে রাজী নয়। সেই অবস্থাতেই প্রলোভন এবং নির্যাতন এক সঙ্গেই চলতে লাগলো। কিন্তু নলিনী কি জানতো না যে, তাঁর নামটা প্রকাশ করে গেলে ইতিহাসের পাতায় তা সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে? কিন্তু ইতিহাসে হয়তো এমন কতগুলি মুহূর্ত আসে যখন বিপ্লবীকে নিঃশব্দে পৃথিবী থেকে চিরবিদায় গ্রহণ করতে হয় । নাম নয়, খ্যাতি নয়, যশ নয়, চোখের জল নয়, গৌরব গাথারও কোন প্রয়োজন নেই ; শুধু কর্তব্য শেষ করে বীরের মৃত্যুই তার আকাঙ্খা। বিপ্লবী নলিনী বাগচীও চাননি, কেউ তাঁর নাম জানুক, অথবা তার জন্য দু’ফোঁটা চোখের জল ফেলুক। তাই তাঁর মুখ থেকে দুটি কথাই শুধু বের হয়ে এসেছিল- “Let me die in Peace, Don’t disturb me.” শান্তিতে মরতে দাও, বিরক্ত কর না।
১৯১৮ খ্রীষ্টাব্দের ১৫ই জুন তারিখে হাসপাতালে বিপ্লবী নলিনী বাগচী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছিলেন।
বিপ্লবী আন্দোলনে মুর্শিদাবাদ জেলার অবদান যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কলকাতায় যে সময় বিপ্লবী
আন্দোলনের সূচনা প্রায় সেই সময় থেকেই মুর্শিদাবাদ জেলায় বিপ্লবী গুপ্ত কেন্দ্র গড়ে উঠতে
থাকে। বঙ্গভঙ্গের সময় বাংলার অন্যান্য অঞ্চলের ন্যায় মুর্শিদাবাদেও বিপ্লবীরা বিশেষভাবে সক্রিয়
হয়ে ওঠে। বিপ্লবী সদস্যদের মধ্যে শরীরচর্চার বিষয়টি যথোচিত গুরুত্ব লাভ করে। আরেকটি
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বহরমপুর বিপ্লবী কেন্দ্রের নিয়মিত যোগাযোগ। পরবর্তী পর্যায়ে মুর্শিদাবাদ
রাজশাহী, ঢাকা ও ভাগলপুর কেন্দ্রের মধ্যে যোগসূত্রের মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায় এবং এক্ষেত্রে নলিনী বাগচীর ভূমিকা অনস্বীকার্য।
তথ্য সহায়তা-১) স্বাধীনতা সংগ্রামে মুর্শিদাবাদ, প্রফুল্ল কুমার গুপ্ত।
২)মুর্শিদাবাদ অনুসন্ধান, ১ম খন্ড,সম্পাদনা- অরিন্দম রায়
৩)সতীশ পাকড়াশী, অগ্নিযুগের কথা, নবজাতক প্রকাশ ১৩৭৮,পৃ-১০৭।